কর্মচারীদের সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট এবং বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরে মাধ্যমে আত্মসাতসহ সুনির্দিষ্ট চার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে এডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ ও কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী
প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।
সচিব জানান, এসব অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন কমিশন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।